রাজধানীতে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা

আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থা (আইএলও) ২০০২ সাল থেকে জুন মাসের ১২ তারিখে দিবসটি পালন করা শুরু করে। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।রাজধানীতে আশঙ্কাজনক হারে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। যে বয়সে বই, খাতা, কলম নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে শিশুরা বেছে নিয়েছে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।ফলে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে শিশুদের উজ্জল ভবিষ্যৎ তেমনি ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন।দেশে শিশুনীতি অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তারা প্রত্যেকেই শিশু। এ বয়সে শিশু শ্রম সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। বর্তমান সরকারও শিশুশ্রম বন্ধে আন্তরিক।অথচ শিশু আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় ও নজরদারির অভাবে শিশু শ্রম দিনে দিনে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

সরেজমিনে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন হোটেল, চায়ের দোকান, ওয়ার্কসপ, বাস, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনের হেলপার ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরির কাজে উদ্বেগজনক হারে শিশুদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। অথচ সংবিধানে ১৮ বছরের কম বয়সীরাই হলো শিশু। শিশুদের সার্বক্ষণিক কর্মী, অসামাজিক বা অমর্যাদাকর ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করা যাবে না।শিশু আইন-১৯৭৪ অনুযায়ী, কোন শিশুর কাছে উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নেশা হয়-এমন কোন পানীয় বা ঔষুধ বিক্রি করা যাবে না। এমনকি যেসব স্থানে নেশাদ্রব্য বিক্রি হয়, সেখানে শিশুদের নিয়ে যাওয়াও শাস্তিযেগ্য অপরাধ।

অথচ গণপরিবহনের হেলপারের কাজ করা শিশুদের ৪৫ ভাগই মাদকাসক্ত বলে দাবি করেছে বেসরকারী সংস্থা অধিকার।এবছরের জানুয়ারিতে তারা এ জরিপকাজ চালায়।রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলাচলরত অধিকাংশ বাস ও লেগুনায় শিশুদেরকে হেলপারের কাজ করতে যায়। কিন্তু এসব শিশুরা জানেনা যে, যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেগুনা ও বাসে ঝুলে ঝুলে যাত্রীদের ডাকতে দেখা গেছে।

ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার ফাতেমা খাইরুন্নাহার ম্যসেঞ্জারে বলেন, সমাজ ও পরিবারে শিশুদের অবহেলার মাত্রা বেড়েছে। যে কারণে শিশুরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং তারা বেঁচে থাকার জন্য শ্রমের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।তবে শিশুশ্রম বন্ধ বা হ্রাস করতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের যে ভূমিকা রাখা দরকার তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি।শিশুশ্রম বন্ধে মন্ত্রণালয়ের কোনো মনিটরিং সেল নেই বলেও জানান ফাতেমা খাইরুন্নাহার।

আপনি আরও পড়তে পারেন